কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা - খাওয়ার নিয়ম ও সময় জানুন

মিল্ক শেক খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পুষ্টিগুণপ্রিয় পাঠক, কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক এবং কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা
বর্তমানে কাজু বাদামের অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেকে আবার কাজু বাদামের সাথে মধু মিশিয়ে ও খেয়ে থাকেন। যেইটা আমাদের শরির এর জন্য অনেক উপকারি। কাজু বাদাম খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এই বাদাম খাওয়ার ও অনেক নিয়ম ও রয়েছে।

ভূমিকা

কাজু বাদাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ খাবার। এটি সাধারণত ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। কাজু আমাদের শরিরের অনেক ক্ষয় সাধন করে থাকে। অনেকে এটাকে মধুর সাথে ও খেয়ে থাকেন।

যার অনেক পুষ্টিগুন বিদ্যমান রয়েছে। ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞগণ অনেকে এটাকে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট বলেও আখ্যা দিয়ে থাকেন। আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি কাজু বাদাম কি, কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা।

কাজু বাদাম কি ভেজে খেতে হয়, খালি পেটে কাজু বাদাম খেলে কি হয়, কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম এবং কাজু এলার্জির চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো আজকে আমরা। কাজু বাদামের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি সাথে সাথে এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। কাজু বাদামের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলঃ
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক

এলার্জি

যেসকল ব্যাক্তিদের কাজু বাদামে এলার্জি রয়েছে সে সকল ব্যাক্তিদের জন্য কাজু বাদাম না খাওয়াই ভালো। যদি তারা ভুলেও এই অবস্থায় খেয়ে ফেলে তাহলে তাদের অনেক ভয়ংকর অবস্থার সম্মুক্ষিন হতে পারে।

কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কাজু বাদাম অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে- যেমন চুলকানি, শরীরে ফুসকুড়ি, এমনকি শ্বাসকষ্টও।

কিডনির সমস্যা

কাজু বাদামে রয়েছে কিছু বেশি পরিমাণে ফসফরাস ও অক্সালেট। আর তাই অতিরিক্ত ফসফরাস ও অক্সালেট থাকার কারণে কিডনি সমস্যা বা পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

মাথা ব্যাথা

কাজু বাদাম খাওয়ার পরে অনেকের মাথা ব্যাথা হতে পারে। কারণ কাজুতে বিভিন্ন অ্যাসিড রয়েছে। যেমন টাইরামাইন, ফেনাইলাইথিলামাইন। এসকল অ্যাসিড থাকার কারণে কাজু অনেকের মাথা ব্যাথার কারন হতে পারে।

অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ

বর্তমান সময়ে বাজারে যেসব কাজু বাদাম লবণযুক্ত  পাওয়া যায়, সেই সকল কাজু অতিরিক্ত খেলে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ

বাদামে সাধারণত সোডিয়ামের পরিমান কম থাকে। তাই আমরা সাধারনত কাজুর সাথে লবণ দিয়ে খেতেই পছন্দ করা থাকি। এই বাদামের সাথে শরিরে অতিরিক্ত সোডিয়াম প্রবেশের জন্য বেরে যেতে পারে শরিরের উচ্চ রক্তচাপ।
এই সকল ক্ষতিকর দিক ছাড়াও আরো বেশকিছু ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করার মতো। নিম্নে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

ওজন বৃদ্ধি

যেহেতু কাজু বাদামে ফ্যাট ও ক্যালোরি অনেক বেশি থাকে তাই অতিরিক্ত খেলে তা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

কাজু বাদাম কি

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক এবং কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো জানার জন্য আমাদেরকে আগে কাজু বাদাম কি সেই সমর্কে জানতে হবে।

কেননা আপনি যদি নাই জানেন কাজু বাদাম কি আর এটি কেনই বা আমরা খাই তাহলে এটির উপকারি গুণ সম্পর্কে জানতে পারবো না। তাই চলুন আপনি যদি কাজু বাদাম কি সেই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কাজু বাদাম হল যকৃত আকৃতির এক ধরনের ফল। যেইটা গাছের ডালে ধরে থাকে। যিনারা কাজুর চাষ করেন তিনারা কাজু গাছে ধরার পরে যখন পেকে পেকে মাটিতে পড়ে তখন তারা মাটি থেকে সেই ফল সংগ্রহ করে। সেই ফল সংগ্রহ করার পর বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজু ফলে রূপান্তর করা হয়।

কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিকগুলো জানবো, তার পূর্বে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক। কাজুবাদাম খাওয়ার শারীরিক উপকারিতা দিক থেকে এর জুড়ি মেলা ভার। কারণ এই ফলে রয়েছে বিভিন্ন রকম শারীরিক উপাদান।
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
এইটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক কার্যকর। বিভিন্ন পুষ্টিবিদেরা বলেছেন কাজুতে ফসফরাস, ফাইবার, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এই সকল আরো বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে।

এছাড়াও আরো উপাদান রয়েছে যেমনঃ প্রোটিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ সকল উপাদান ছাড়াও রয়েছে তাদের বিভিন্ন উপাদান। কাজুবাদাম প্রতিদিন রাতে দুধের সঙ্গে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন কাজু ও দুধ একসাথে খেলে শরীরের বার্ধক্যের হারের ক্ষয় রোধ হবে।

কারণ দুধ এবং কাজু দুটোতে রয়েছে অনেক ভিটামিন জাতীয় উপাদান। কাজুতে থাকা উপাদান সমূহ ক্যান্সারের মতো মারাত্মক মরণ ব্যাধির সাথে লড়াই করতে পারে। কারণ কাজুতে রয়েছে কপার যা সহজে ক্যান্সারের সেলগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

কাজু হাড় গঠনে হাড়কে মজবুত শক্তিশালী করে গড়তে সহায়তা করে। কেননা কাজু বাদামে রয়েছে অনেক কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম আরো অনেক নানা উপাদান।
যেগুলো আমাদের হাড় গঠনে হাড়কে শক্তিশালী করে গড়তে সাহায্য করে। কাজু বাদামের ক্ষতিকর কিছু দিক থাকা স্বত্ত্বেও কাজুবাদাম কে আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের মহা ঔষধ হিসেবে অনেকে বিবেচিত করে থাকেন।

কেননা বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে সকালে খালি পেটে নিয়মিত কাজু বাদাম খেয়ে অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই মিষ্টি ও সুস্বাদু জাতীয় বাদাম রেচন প্রক্রিয়াতেও সহায়তা করে। কাজুবাদাম শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ওজন কমানো সম্ভব হয় তাড়াতাড়ি। কাজুতে রয়েছে অতিরিক্ত মাত্রায় ফাইবার। যেইটা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতা কমাতে সহায়তা করে। নিম্নে আরো বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।

হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় সহায়ক

কাজু বাদামে থাকা হেলদি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়

ভিটামিন E, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ কাজু ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।

হাড় মজবুত করে

কাজু বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

এতে থাকা জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

সঠিক পরিমাণে খেলে কাজু ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভব হয়।

কাজু বাদাম কি ভেজে খেতে হয়

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক। কাজু বাদাম যখন গাছে ধরে তখন কাঁচা সেই বাদাম খাওয়া উচিত নয়। কেননা কাঁচা কাজু বাদাম অনেক বিষাক্ত হয়।

পাহাড়ি অঞ্চলে বা যেসব জায়গায় কাজু বাদাম চাষ করা হয়, সেসব জায়গায় যে সকল ব্যক্তিগণ চাষ করে থাকেন। তিনারা প্রথমে গাছ থেকে সংগ্রহ করেন। তারপর সেই কাজুকে নিয়ে গিয়ে দা অথবা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে খুঁচিয়ে কাজুর শাঁস বের করেন।
তারপর সেই কাজুকে ভাজা হয়। তবে কাজু থেকে নোনতা স্বাদ পাওয়ার জন্য কাজুকে ভাজার পুর্বে লবণ পানিতে চুবিয়ে নেওয়া হয়।

আবার কাজু থেকে মিষ্টি স্বাদ পাওয়ার জন্য কাজুকে ভাজার পরে চিনির সুরাতে চুবানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বর্ধনের জন্য কাজুকে বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যাবহার করা হয়।

খালি পেটে কাজু বাদাম খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খেলে এটা কোষ্ঠকাঠিন্যের মহোঔষধ হিসেবে কাজ করবে। কারণ প্রতিদিন নিয়োমিতো সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

কারণ কাজু বাদামে প্রচুর পরিমণে ফাইবার থাকে, যা শরিরের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরিরের খাবার হজমেও সহায়তা করে থাকে।

কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক জেনে কাজু বাদাম সচরাচর ভেজে খাওয়া হয়। কারণ কাজু যখন সংগ্রহ করা হয় তখন কাজু কাঁচা থাকে। এবং কাঁচা কাজু আনেক বিষাক্ত হয়।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম
কাজু সংগ্রহ করার পরে সেগুলোকে দা কিংবা বিভিন্ন ধারালো যন্ত্র দিয়ে শাঁস বের করে নেওয়া হয়। তারপর সেগুলোকে রোদে শুকিয়ে খাওয়ার উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়। কাজুবাদাম খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে যেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

ছোট বাচ্চাদের জন্য যাদের বয়স দুই বছরের কম

যে সকল বাচ্চাদের বয়স দুই বছরের কম এ সকল বাচ্চাদের কাজু বাদাম খাওয়ানোর বিষয়ে অনেক সচেতন হতে হবে। তুলনামূলক একটু বড় হওয়ার জন্য তাদের গলায় আটকে যেতে পারে।

দিনে ১টি বা ২ টি কিংবা একসাথে ১০-১৫ টি পর্যন্ত খাওয়ানো যেতে পারে। তবে তাদের খাওয়ানোর সুবিধার্থে বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে কাজু বাদাম খাওয়ানো যেতে পারে। এতে করে তারা খেতেও সাছন্দ বোধ করবে।

যে সকল বাচ্চাদের বয়স ২ বছর বা তার থেকে বেশি তাদের জন্য

এ সকল বাচ্চারা সাধারণত মিষ্টি উপাদান খেতে ভালোবাসে। তারা একবারে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ টি পুরা খেতে পারে। তবে তারা যদি একসাথে ৫০ গ্রাম বা তার বেশি বাদাম খেয়ে ফেলতে পারে তাহলে তাদেরকে সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার খেতে দেওয়া উচিত।

ডায়াবেটিসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য

যে সকল ব্যক্তিগণ ডায়াবেটিস নামক রোগে আক্রান্ত সে সকল ব্যক্তিগণ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ টি অথবা 50 গ্রাম খাওয়াই তাদের জন্য যথেষ্ট। এবং একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন 50 থেকে 70 গ্রাম কাজু বাদাম খেতে পারবেন।

উপরের উল্লিখিত নিয়মগুলো ছাড়াও যেই সকল নিয়মগুলো না মানলেই নয় সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো। চলুন তাহলে একনজরে দেখে নেওয়া যাক। 

বাদামে পরিমাণঃ দিনে ৫–৭টি কাজু বাদামই যথেষ্ট। অতিরিক্ত খাবেন না।
ভেজে না কাঁচাঃ কাঁচা বা হালকা টোস্টেড (ভাজা নয়) কাজু খাওয়া উত্তম। অতিরিক্ত ভাজা বাদামে তেল ও লবণ বেশি থাকে।
খাওয়ার সময়ঃ সকালের নাস্তার সঙ্গে বা বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া ভালো।
খালি পেটে খাবেন কিনাঃ অনেকে খালি পেটে কাজু খেয়ে অম্বল বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভোগেন। তাই একটু খাবারের পর খাওয়া উত্তম।

কাজু এলার্জির চিকিৎসা

প্রথমেই আপনাদের সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে এলার্জির জন্য কোন স্থায়ি চিকিৎসা নেই। কারণ এই এলার্জির সম্পর্ক সরাসরি ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে।

তাই এতটুকু আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই যে, যেসকল খাবারে আপনাদের এলার্জির রয়েছে সে সকল খাবার পরিহার করা চলাই ভালো।

কাজু এলার্জি হলে করণীয়

যদি আপনার ত্বকে কাজু খাওয়ার কারণে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবল্বন করে চলতে হবে। সেগুলো হলোঃ
  • ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, চোখে পানি পড়া বা শ্বাসকষ্ট হলে অবিলম্বে কাজু বাদাম খাওয়া বন্ধ করুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিহিস্টামিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করুন।
  • ভবিষ্যতে বাদামজাতীয় খাবার খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ কাজুবাদাম কখন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ কাজুবাদাম সারা রাত দুধে ভিজিয়ে নিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে বার্ধক্যের সমস্যার সমাধান হয়।

প্রশ্নঃ কাঁচা কাজু বাদাম খেলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ কাঁচা কাজু বাদাম অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিছু ক্ষতি হতে পারে। যেমন
  • ওজন বৃদ্ধি
  • উক্ত রক্তচাপ
  • মাথা ব্যাথা
  • এলার্জি
  • কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করতে পারে
প্রশ্নঃ কাজুতে কি অক্সালেট বেশি থাকে?
উত্তরঃ কাজুতে অক্সালেট এর পরিমাণ ১৪৭-২৫০ মিলি গ্যাস্ট্রিক দ্রবণীয় অক্সালেট ১০০ গ্রাম এফডব্লিউ থাকে।

সর্বশেষ বক্তব্য

কাজু বাদাম একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু খাবার হলেও এটি সঠিক নিয়মে না খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে কাজু যুক্ত করলে তা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী হতে পারে।

আশা করছি আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক এবং কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পেরছেন।

যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এমনই আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url