সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতাপ্রিয় পাঠক, আপনি কি সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কেননা আজকে আমরা ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 
সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম
আমরা কম বেশি প্রায় সকলেই জানি যে, আমাদে খাদ্য পরিপাক ক্রিয়ায় এবং খাদ্য হজম হওয়ার জন্য ইসবগুলের ভূসি অনেক ভালো পরিমাণে কাজ করে থাকে। তাহলে চলুন এখন আমরা সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম বিস্তারিত জেনে নেই।

ভূমিকা

ইসবগুলের ভুসি (Psyllium Husk) প্রাকৃতিক একটি উপাদান যা দীর্ঘদিন ধরে হজমজনিত সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেই গড়ে তুলেছেন।

কিন্তু আসলেই কি এটি উপকারী? আর কীভাবে খাওয়া উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকের সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ইসবগুলে ভূসি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। 

এটা মূলত আমরা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য এবং আমাদের পেটের গ্যাস দূর করার জন্য খেয়ে থাকি। খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় এই বিষয়ে জানলে আপনি অবাক হবেন। 

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি ইসবগুলের ভুসি কি, ইসবগুলের ভুসি কি থেকে তৈরি? ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়, ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়, ইসবগুলের ভুসি ও তোকমার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ইসবগুলের ভুসি কী?

ইসবগুলের ভুসি একটি প্রাকৃতিক ফাইবার, যা Plantago Ovata গাছের বীজ থেকে তৈরি হয়। এটি পানিতে ভিজিয়ে রাখলে একধরণের জেলি জাতীয় পদার্থে রূপান্তরিত হয়। যা খাওয়ার ফলে আমাদের অন্ত্রে নরমত্ব এনে মল ত্যাগ সহজ করে তোলে।

ইসবগুলের ভুসি কি থেকে তৈরি?

ইসবগুলের ভুসি একটি গুল্ম জাতীয় গাছের ফল কে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত করে একে ব্যাবহার উপযোগি করে তোলা হয়। আর এটি যখন গুরো করে ব্যাবহার উপযোগি করে তোলা হয় তখন এটি ভূসির আকার ধারণ করে। তাই একে ইসবগুলের ভুসি বলা হয়।

ইসবগুল গাছ লতার বা গুল্ম জাতীয় একধরণের গাছ।এই গাছের ফলের নাম হলো ইসবগুল। এই গাছ সাধারণত দের থেকে দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ইসবগুলের ফল অনেক ছোট হয় এবং এর ফুলের পাপড়ি অনেক সুক্ষ হয়। ইসবগুলের ফল সাধারণত দুই কোষ বিশিষ্ট হয়ে থাকে।

এবং প্রতিটি ফলের দৈর্ঘ্য ৭ থেকে ৮ মিলিমিটার হয়। আর ফলের ভেতরে বীজের দৈর্ঘ্য ৩ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই ফলকে পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ইসবগুলের ফল থেকে ভুসি বানানোহয়।

ইসবগুলের ভুসি কিভাবে তৈরি হয়

আমরা সকলেই ইতিপূর্বে জানতে পেরেছি যে, ইসবগুল এক ধরনের গাছ। এ গাছটি হলো লতাগুলো গাছ। এই গাছটি এক ধরনের ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের বীজ ভুসি ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এইসব গুলোর ভূষি তৈরি করার জন্য প্রথমে ইসুবগুলের লতাগুলো গাছ হতে ইসবগুলের ফল সংগ্রহ করা হয়। ইসবগুলের প্রতিটি ফলের দৈর্ঘ্য ৭ থেকে ৮ মিলিমিটার হয়ে থাকে। এবং প্রতিটি ফলের ভেতরে এর বীজ 3 মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

প্রথমে এই বীর সংগ্রহ করে খুবই আলতোভাবে বীজের গায়ে হতে বীজের খোসা আলগা করে ফেলে দেওয়া হয়। ইসবগুলের বীজ হতে খোসা আলাদা করার জন্য বিভিন্ন যাঁতাকল ছাড়াও আরো নানারকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ যন্ত্রপাতির ভেতরে বিভিন্ন ছোট রকমের পিন লাগানো থাকে। এই যন্ত্রের ভেতরে যখন ইসবগুলের ফল দিয়ে যন্ত্রটি চালু করা হয়, তখন যন্ত্রটি ঘুরতে থাকে।

আর এ ঘোড়ার সাথে সাথে বীজের সাথে ঘষার লাগার সাথে ব্রিজের খোসা আলগা হয়ে যায়। তারপরে এই ইসবগুলের বীজ কে নিয়ে খোসা আলাদা করে তারপরে এর ভূষি বানানো হয়। যা অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন।

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আজকে আমরা সেগুলি সম্পর্কেই জানবো। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

খালি পেটে ইসবগুল খেলে আমাদের অন্ত্রের পানির শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে মল নরম হয় ও সহজে নির্গত হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর।

খাবারের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

ইসবগুলের ভূষি আমাদের অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যাতে করে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির মতো সমস্যা কমে যায়।

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

ইসবগুলের ভূসি খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে। এতে করে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায়। যার জন্য এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

ইসবগুল খেলে আমাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস করে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে

ইসবগুল ধীরে ধীরে হজম হয়, যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বাড়ে না। যার জন্য এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়

আমরা প্রায় সকলেই জানি ইসবগুলের ভুষির অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। তাই এটি সকলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ইসুবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন।

আর সাধারণত যারা কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা বিভিন্ন গ্যাস্ট্রেকে ভুগতেছেন তিনারা প্রতিদিন সকালে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে থাকেন। ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায় এই রকম প্রশ্ন আমরা সকলেই কম-বেশি করে থাকি।

কিন্তু জানি না যে ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়। চলুন তাহলে আমরা সকলেই এখন ইসবগুলের ভুসি কতদিন খাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জেনে নেই।

তা না হলে আমরা উপকার খুজতে গিয়ে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি করে নিয়ে বসে থাকবো। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভূসি খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটানা ইসবগুলের ভুসি খাওয়া আপনার জন্য উচিত হবে না। এতে করে আপনি আরো নানান রকম সমস্যার সম্মুখিন হবেন।
যেমন ডায়রিয়া সহ আরো অনেক কিছু। আপনি যখন ইসবগুলের ভুসি খাবেন তখন খেয়াল রাখবেন যেন একতানা তিনদিন এর বেশি না হয়ে যায়।

যদি আপনি একটানা ৩ দিন খাওয়ার পরেও আপনার অসুস্থতার কোন উন্নতি না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আপনি যখন ভরাপেটে খাবেন তার থেকে বেশি আপনি উপকৃত হবেন যদি সকালে খালি পেটে খান।

সকালে খালি পেটে খেলে এটি আপনার শরীরে কার্যোকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য আরো অনেক বড় সুযোগ পায়। আপনি যদি খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় সে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই আমরা জেনে নেই খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয়।
  • শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহযোগিতা করে
  • খাদ্য হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে
  • হাত-পা এর জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে
  • প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া সারাতে সাহায্য করে
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
  • ডাইরিয়া কমানোর জন্য সাহায্য করে
  • অ্যাসিডিটির হাত থেকে মক্তি পাওয়ার জন্য সাহায্য করে
  • হৃদরোগের ঝুঁকির মাত্রা কমায়
  • ওযন কমানোর জন্য ও অনেক উপকারি
  • রক্তে গস্নুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • পাইলস প্রতিরোধ করার জন্য অনেক উপকারি

ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়

আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খেলে কি কি উপকৃত হয় আমরা সকলে ইতিপূর্বে জানতে পেরেছি। 
ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়
এই সকল উপকার ছাড়াও আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন হ্রাস করতে চান তাহলে আপনি প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। ইসবগুলের ভুষিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে। 

তাই আপনি যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তবে এটি আপনার জন্য হবে একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।

আপনি যদি ইসবগুলের ভুষি খান তাহলে এতে করে আপনার শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি জমে যাওয়ার ভয় থাকে না। যার প্রতিশ্রুতিতে আপনার শরীরের ওজন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিয়া আসা যায়।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আমরা সকলেই ইতিপূর্বে সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই পর্যায়ে এখন জানবো ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সকালবেলা খালি পেটে খাওয়া

ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১-২ চা চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পর অবশ্যই ১-২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। তা না হলে এটি আমাদের অন্ত্রে আটকে গিয়ে উপকারের থেকে উল্টো আরো বেশি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ইসবগুলের ভুসির সাথে চিনি বা দুধ না মেশানোই উত্তম

অনেকেই ইসবগুলের ভুসির সাথে দুধে মিশিয়ে খান। তবে আপনার যদি হজমজনিত সমস্যা হয় তাহলে হালকা গরম পানিতে খাওয়াই ভালো।

প্রতিদিন না খেয়ে প্রয়োজনের সময় খাবেন

আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন খেয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার কিছু কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেন। তাই নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম। বিশেষ করে আপনার যদি অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

প্রশ্নঃ ইসবগুলের ভুসি খালি পেটে খাওয়া কি নিরাপদ?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সঠিক নিয়মে ও পরিমাণে খেলে এটি নিরাপদ। তবে যদি আপনার অন্ত্র বা পাচনতন্ত্রে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

প্রশ্নঃ ইসবগুলের ভুসি কখন খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ সকালে অথবা দুপুরে, দুপুরে অথবা রাতে সারাদিনের তিন বেলার যেকোন দুই বেলা খাবার খাওয়ার পরে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া ভালো।

প্রশ্নঃ ইসবগুলের ভুসি কি কি কাজ করে?
উত্তরঃ ইসবগুলের ভুসি মানবদেহে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে। যেমন কোষ্টকাঠিন্য দূর করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ডায়রিয়া কমায়, খাদ্য হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ  ইসবগুল খেলে কি ওজন কমে?
উত্তরঃ ইসবগুল পেট ভরাট অনুভব করায় অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি একমাত্র সমাধান নয়, সুষম খাদ্য ও ব্যায়ামও জরুরি।

প্রশ্নঃ ইসবগুলের ভুসি দিনে কতবার খাওয়া উচিত
উত্তরঃ ইসবগুলের ভুসি দিনে সাধারণত একবার খাওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ ভুষি অর্থ কি?
উত্তরঃ ভুষি অর্থ হলো যেকোন ফসলের খোসা বা চোকলা।

প্রশ্নঃ ইসবগুল কখন খাওয়া ভালো - খালি পেটে না খাওয়ার পর?
উত্তরঃ দুই সময়ই খাওয়া যায়, তবে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যায় দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ ইসবগুলের ভুষি কি দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তরঃ ইসবগুলের ভুষি তৈরি হয় প্ল্যান্টাগো ওভাটা নামের একটি গাছের বীজ থেকে।

প্রশ্নঃ ইসবগুলের ভুসি খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
উত্তরঃ না। তবে এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে, তাই এটি আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।

প্রশ্নঃ ওজন কমাতে ইসবগোল কখন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ হ্যা। আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে খাবারের টিক আগ মুহুর্তে গরম পানিতে ইসবগুল মিশিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে নিয়ে এই মিশ্রণটি খেতে হবে।

প্রশ্নঃ খালি পেটে ইসবগুল খাওয়ার পরে কি খেতে পারি?
উত্তরঃ ইসবগুল খাওয়ার ১৫–৩০ মিনিট পর আপনি নাস্তা করতে পারেন। তবে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই ভালো।

লেখকের মন্তব্য

সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে। তবে অবশ্যই সঠিক নিয়মে এবং পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

অতিরিক্ত পরিমাণে বা ভুলভাবে খেলে উপকারের বদলে অপকার হতে পারে। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইসবগুলের সঠিক ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আপনি যদি নিয়মিত হজম সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তবে প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে ইসবগুল হতে পারে আপনার জন্য উপকারী একটি বিকল্প।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url