কিভাবে বুঝবেন ব্লু কাট চশমা আসল না নকল? জেনে নিন
২০২৫ সালে ওয়ালটন গ্যাসের চুলার দাম কতবর্তমানে কম্পিউটার, মোবাইল ও টিভি স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটানোর কারণে চোখে
সমস্যা হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্লু
কাট চশমা ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- বাজারে পাওয়া প্রতিটি ব্লু কাট চশমাই
কি আসল? আজকে জানবো ব্লু কাট চশমা চেনার উপায়, যাতে আপনি নকল চশমা কিনে প্রতারিত
না হন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি ব্লু কাট চশমার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? ব্লু কাট
চশমা দাম, চশমার গ্লাস কত প্রকার এবং চোখের জন্য কোন গ্লাস ভালো সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল আলোচনায় প্রবেশ করা
যাক।
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায়
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় সম্পর্কে আজকের এই পাঠে আমরা জানতে পারবো। আমরা প্রায়
এখন সকলেই অবগত আছি ব্লু কাট চশমা আমাদের চোখের সুরক্ষা দেয় ডিজিটাল ডিভাইস থেকে
বের হওয়ার অতি বেগুনি রশ্মি হতে।
আর তাই আমরা সকলেই এখন এই চশমা ব্যাবহার করার জন্য আগ্রহি। তবে এই চশমা কেনার
ক্ষেত্রে অবশই আপনাকে ভালো করে চিনে তারপরে করতে হবে। কিভাবে চিনবেন এটাই আসল
ব্লু কাট চশমা? চলুন জেনে নেই।
যখন একটি ব্লু কাট লেন্সের চশমা ক্রয় করা হয় সেই সময়ে চশমার টেস্টিং করার জন্য
একটি নীল আলোর ব্লু লেজার লাইট দেওয়া হয়। আপনি যখন ব্লু কাট লেন্সের চশমা চিনতে
চাইবেন তখন অবশ্যই ব্লু লেজার লাইট এই চশমার কাচের উপরে ধরতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার খরচ কত
যদি দেখেন সেটি এই অতিবেগুনি আলোকে বাধা প্রয়োগ করতে পারছে তাহলে সেটি হল ব্লু
কাট চশমা। আর যদি দেখেন এই চশমা আপনার সেই ব্লু লেজার লাইটের আলোকে বাধা প্রয়োগ
করতে পারছে না তাহলে এটি ব্লু কাট চশমা নয়।
শুধুমাত্র এই একটি উপায়েই আপনি ব্লু কাট চশমা চিনতে পারবেন। আর আপনি যদি সঠিক আসল
ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চোখের সহজে কোন ক্ষতি হবে না।
এছাড়াও আপনার চোখ থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আশা করছি কিভাবে আপনি একটি ব্লু কাট
চশমা চিনবেন সেই বিষয়ে আপনাকে বিস্তারিত ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় - ৫টি কার্যকর টিপস
১. নীল আলো টেস্টার লাইট ব্যবহার করুন
অনেক দোকানে একটি ছোট নীল লাইট টেস্টার দেওয়া হয়। চশমার লেন্সে আলো ফেললে যদি
এটি প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে এবং কাগজে কম নীল দাগ পড়ে, তাহলে এটি ব্লু কাট
চশমা।
২. লেন্সে হালকা নীল বা বেগুনি রঙের প্রতিফলন
আসল ব্লু কাট লেন্সে হালকা নীলচে বা বেগুনি শেড দেখা যায় যখন আলো পড়ে। এটি তার
প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রমাণ।
৩. মোবাইল স্ক্রিন টেস্ট
চশমা না পরে এবং পরে মোবাইল স্ক্রিনে তাকান। যদি রঙের পার্থক্য বা উজ্জ্বলতায়
হালকা পরিবর্তন বুঝতে পারেন, তাহলে সেটি ব্লু কাট হতে পারে।
৪. UV টেস্ট রিপোর্ট চাওয়া
ভালো কোম্পানির ব্লু কাট চশমার সঙ্গে UV প্রোটেকশন রিপোর্ট থাকে। এটি দেখে
নিশ্চিত হওয়া যায় লেন্সের গুণগত মান।
৫. বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড ও দোকান থেকে কিনুন
অন্যদের পরামর্শ নিয়ে শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য আইওয়ার ব্র্যান্ড বা দোকান থেকে
কিনুন।
ব্লু কাট চশমার উপকারিতা
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে জানতে পেরেছি। এই পাঠে আমরা
জানতে পারবো ব্লু কাট চশমার উপকারিতা সম্পর্কে।
আপনি যদি একটি ব্লু কাট চশমা ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে সবার প্রথমেই আপনাকে এর
উপকারিতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা জানা উচিত। চলুন তাহলে আমরা এই সম্পর্কে
এখন জেনে নেই।
ব্লু কাট চশমার উপকারিতা হিসেবে প্রথমেই যেটি উঠে আসে সেটি হলো এটি আমাদের
ডিজিটাল ডিভাইসের নিল আলো থেকে এবং সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
তার পাশাপাশি এটি আমাদের সূর্যের আলো থেকে আমাদের চোখকে সুরক্ষা দেয়। আমরা
প্রতিদিন যেই সকল আলো দেখি সেটি হলো সাত রঙ্গের। আর এই সাত রঙের আলোই আমাদের চোখে
পরে। সেই সকল সাত সং হলো
- লাল
- নীল
- সবুজ
- বেগুনী
- হলুদ
- কমলা
- আসমানি
এই সাতটি রঙের মধ্য হতে লাল রঙের আলোক তরঙ্গ অনেকটাই বেশি। এবং বেগুনি রঙের আলোক
তরঙ্গ অনেকটাই কম। এই সকল আলোর মধ্য হতে যে আলোর তরঙ্গ সব থেকে বেশি হয় সেই আলোর
ব্যানার্জি ততটাই কম।
আর যে আলোর তরঙ্গের সবথেকে কম হয় সেই আলোর এনার্জি ততটাই বেশি। এই হিসেবে লাল
রঙের আলোর তরঙ্গ সবথেকে কম এবং বেগুনি রঙের আলোক শক্তি সব থেকে বেশি।
আর এ বেশি শক্তির আলো বেগুনি বা নীল রংকে বলা হয় High Energy Visible Light বা
HEV লাইট। আর এই বেগুনি রঙের আলো থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে এই ব্লু কাট চশমা।
এই HEV আলোর ক্ষতিকর প্রভাব অনেক রয়েছে। এই সকল আলো গুলোর মধ্যে আমাদের স্যারের
ভিতরে প্রক্রিয়াগুলোর যে সকল কার্যক্রম চক্র ২৪ ঘন্টায় কার্যক্রম চালায় তাতে
ব্যাঘাত ঘটায়।
শুধু তাই নয় এর অতিরিক্ত প্রভাবের কারণে আমাদের চক্ষু সাদা হয়ে যেতে পারে।
আমাদের চখের অবসাদ চলে আসতে পারে। তার জন্য আমাদের চোখের দির্ঘ্যস্থায়ী বিভিন্ন
ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই সমস্যার থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করে থাকে এই ব্লু কাট চশমা। আর এটাই হলো ব্লু
কাট চশমার সবথেকে বেশি উপকারি দিক। আশা করছি আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
ব্লু কাট চশমার অপকারিতা
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় জানার পরে সকলের মনেই এমন প্রশ্ন উঠে আসে ব্লু কাট
চশমার অপকারিতা কি। ব্লু কাট চশমার তেমন কোন অপকারিতা এখনো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
তবে আপনিও যদি এমন প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে থাকেন তাহলে চলুন এখন আমরা এই বিষয়ে
বিস্তারিত জানবো। তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কেনো আমাদের এই ব্লু কাট চশমা
ব্যাবহার করা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেই।
আমরা সকলেই এখন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহার করে থাকি প্রতিদিনের প্রায় ১৬ ঘন্টার
মতো। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে থেকে শুরু করে ঘুমোতে
যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহার করেন।
আর এই ডিজিটাল ডিভাইস থেকে অতি বেগুনি রশ্মি বের হয়। আর বেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে
রক্ষা করার জন্য ব্লু কাট চশমা অপরিহার্য।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় গবেষকরা জানিয়েছেন এই ব্লু কাট কাঁচের পেছনে অহেতুক টাকা
খরচের কথা এই চশমা ক্রয় করার পূর্বে একবার বিবেচনা করা উচিত।
সাম্প্রতিক ১৭ টি গবেষণার মধ্যে উঠে এসেছে একটি নতুন পর্যালোচনা। এই পর্যালোচনার
এক পর্যায়ে বলা হয় চোখকে রক্ষার ক্ষেত্রে এই চশমা তেমন কোন একটা ভূমিকা রাখে না।
দ্য স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ নিউ ইউর্ক কলেজের অপটোমেট্রি বিভাগের অধ্যাপক মার্ক
রোজেনফিল্ড বলেন যে, অনেক সময় ধরে গবেষণার ফলে তারা বলেন বহু সময় ধরে ব্লু কাট
চশমা অর্থাৎ নিল আলো প্রতিরোধি চশমার কার্যকারিতা নিয়ে সন্ধিহান ছিল বিজ্ঞানিরা।
অতীতে যেহেতু গবেষণার পরিসর ছিলো ছোট, তার পরেও গবেষণার মধ্যে এমন তথ্য উঠে এসেছে
এই চশমা নীল আলো থেকে চোখকে তেমন একটা রক্ষা করে না অথবা চোখের যৌতি বৃদ্ধি করার
ক্ষেত্রেও তেমন একটা ভূমিকা রাখে না।
অনেকে আবার এমন মনে করেন ব্লু কাট চশমা ব্যাবহারের ফলে অনেক ভালো পরিমাণে ঘুম হয়।
তবে এই বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ বিভিন্ন ধরণের তথ্য জানিয়েছেন।
এবং এই বিষয়ে অনেকটাই বিতর্ক ধরণের তথ্য উঠে এসেছে। এই চশমার কার্যকারিতা নিয়েও
অনেক বিজ্ঞানিগণ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে আপনি চোখের ওপরে অতিরিক্ত ডিজিটাল
ডিভাইসের চাপ কমানোর জন্য এই চশমা ব্যাবহার করতে পারেন।
ব্লু কাট চশমা দাম
ব্লু কাট চশমা ক্রয় করার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই সেই জিনিসের দাম জানা উচিত। তা
না হলে আপনি সঠিক দামে সেই জিনিসটি ক্রয় করতে পারবেন না। তাহলে দোকানি আপনাকে
ঠকাতে দ্বিধাবোধ করবে না।
আর তাই আপনার সুবিধার্থে আমরা আপনার সাথে কয়েকটি ব্লু কাট চশমা দাম সম্পর্কে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আলোচনা জানাবো।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্লু কাট চশমা দাম সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০
টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। অ্যারেন ব্লাক এবং ক্রোনস ইয়লো এই দামের মধ্যে একটি
মানান সই বাজেটের মধ্যে একটি মোটা ফ্রেমের ভালো মানের চশমা।
এই চশমাগুলো দেখতে গোল আকৃতির এবং ব্যাবহারের ফলেও এটিকে দেখতে অনেকটাই স্মার্ট
লাগে। এই চশমাগুলো শুন্য পাওয়ারের।
তবে, ক্রোনস ইয়লো সম্পূর্ণটাই হলুদ কালারের হলেও অ্যারেন ব্লাক নীল এবং কালো রং
এই দুটির সমন্বয়ে তৈরি। তবে আপনি যদি চিকন ব্লু কাট চশমা ব্যাবহার করার চিন্তা
ভাবনা করেন তাহলে আপনি এডিসন এবং ইভানটিক ব্লাক স্টেইলেস স্টিলের বানানো চশমাটি
ব্যাবহার করতে পারেন।
এই ব্লু কাট চশমাগুলো আকারে গোল ধরণের এবং আপনি যখন ব্যাবহার করবেন তখন কাঁচের
ভেতরে কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করতে পারবেন। এখব ব্লু কাট চশমার বাজারে এখন এক্সেল
লিওপার্ড এবং হোরাস একটি অনন্য ধরণের মাত্রা যোগ করেছে।
আপনি যখন এই চশমা দুটো হাতে পাবেন তখন একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন এই চশমাগুলো
অনেকটাই সাদাসিধে গড়নের।
এছাড়াও এখন বাজারে এসে ব্লু কাট চশমার বাজারে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে হোরাস
ব্লু ব্লকিং, ইউভি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেটিতে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ি চশমার
পাওয়ার বৃদ্ধি করা এবং কমানোর সুবিধা রয়েছে।
চশমার গ্লাস কত প্রকার
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় জানার পরে আমরা সকলেই ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছি চশমা হলো
আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। যেটি আমাদের চোখকে ভালো রাখার জন্য সারাজীবন
ব্যাবিহার করতে হতে পারে।
এখন যদি একজন মানুষের বয়স ৫০ বছরের একটু বেশি হয় তাহলেই তার চশমার গুরুত্ব
অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই বলাই যায় বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনে চশমার গুরুত্ব অনেকটাই
বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
২০২৫ এ এড দেখে টাকা আয়ের সেরা ১০টি উপায়
আর তাই চশমা ব্যাবহারে ক্ষেত্রে সেই চশমা সম্পর্কে জানার জন্য মানুষের জানার
আগ্রহের শেষ নেই। আর তাই অনেকেই জানতে চান এই চশমার গ্লাস কত প্রকার সেই
সম্পর্কে।
এখন আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। চলুন তাহলে জেনে নেই। চশমার
গ্লাসকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো
- হোয়াইট লেন্স
- হোয়াইট আ্যন্টি রিফ্লেক্ট লেন্স
- অটো লেন্স
উপরের উল্লিখিত এই সকল চশমার গ্লাস ব্যাবহার করা হয়। তবে এছাড়াও এখন বিভিন্ন
ধরণের গ্লাস বাজারে পাওয়া যায়। আপনারা যারা চশমার গ্লাস কত প্রকার সেই সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছিলেন আশা করছি আপনারা এই সম্পর্কে এখন জানতে পেরেছেন।
ব্লু কাট চশমা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃ ব্লু কাট লেন্স কি রোদের জন্য ভালো?
উত্তরঃ ব্লু কাট চশমা রোদের পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহারের
ক্ষেত্রেও অনেক ভালো। এতে করে আপনার চোখ সুরক্ষিত থাকবে।
প্রশ্নঃ সব ব্লু কাট চশমায় কি UV প্রোটেকশন থাকে?
উত্তরঃ না। কিছু নকল চশমায় UV প্রোটেকশন থাকে না। তাই রিপোর্ট যাচাই করুন।
প্রশ্নঃ ব্লু কাট নাকি অ্যান্টি গ্লেয়ার কোনটা ভালো?
উত্তরঃ ব্লু কাট চশমা আপনাকে ডিজিটাল ডিভাসের নীল আলো থেকে রক্ষা
করতে সাহায্য করবে। আর অ্যান্টি গ্লেয়ার চশমা আপনাকে স্পষ্টভাবে দেখতে সাহায্য
করবে। তবে এটি আপনার চোখকে নিল আলো থেকে রক্ষা করবে না।
প্রশ্নঃ নীল আলো কী ধরনের ক্ষতি করে?
উত্তরঃ চোখের ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
প্রশ্নঃ চোখের জন্য কোন গ্লাস ভালো?
উত্তরঃ উচ্চ সূচক গ্লাস চোখের জন্য ভালো। তবে আপনার চোখের যদি কোন
সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপরে গ্লাস
ব্যাবহার করাই উত্তম হবে।
প্রশ্নঃ ব্লু কাট চশমা কি সবার জন্য প্রয়োজন?
উত্তরঃ যদি আপনি দিনে ৫ ঘণ্টার বেশি স্ক্রিনের সামনে থাকেন, তবে এটি উপকারী।
প্রশ্নঃ চশমার গ্লাস কত প্রকার?
উত্তরঃ চশমার গ্লাসকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলোঃ
- হোয়াইট লেন্স
- হোয়াইট আ্যন্টি রিফ্লেক্ট লেন্স
- অটো লেন্স
প্রশ্নঃ ব্লু কাট চশমা ও অ্যান্টি-গ্লেয়ার চশমা কি একই?
উত্তরঃ না, উভয়ের কাজ ভিন্ন। ব্লু কাট নীল আলো রোধ করে, অ্যান্টি-গ্লেয়ার আলোর প্রতিফলন কমায়।
উপসংহার
আজকের এই লেখায় আমরা বিস্তারিত জানলাম ব্লু কাট চশমা চেনার উপায়। সঠিক তথ্য জেনে
আসল চশমা কেনার মাধ্যমে আপনি আপনার চোখকে সুরক্ষা দিতে পারবেন। মনে
রাখবেন, ব্লু কাট চশমার ক্ষেত্রে শুধু দাম নয়, মান যাচাই করাও সমান
গুরুত্বপূর্ণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url