২০২৫ সালে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন যেভাবে
২০২৫ সালে ওয়ালটন গ্যাসের চুলার দাম কতপ্রিয় পাঠক, ২০২৫ সালে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন কিভাবে সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন সঠিক জায়গেতই রয়েছেন। কেননা আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা ২০২৫ সালে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন কিভাবে সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত জানবো।

বাংলাদেশের বয়স্ক মানুষদের অর্থের নিরাপত্তার জন্য এই বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়। তারা সেই সময়টাতে কোন কাজ করতে ব্যার্থ থাকে। তাই তাদের জন্য অর্থের ব্যাবস্থা সরকারি মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
ভূমিকা
এখন খুব সহজেই বাড়িতে বসে থেকে এই বয়স্ক ভাতার আবেদন করা যায় মোবাইল ফোন থেকে অথবা কম্পিউটার থেকে। বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার পরে সেই আবেদন যাচাই বাছাই করে সরাসরি মোবাইলের ব্যাংকিং একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তাই আপনি এখন ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন আবার সেই টাকা ঘরে বসে থেকেই পাবেন। আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকেন তাহলে আপনি বয়স্ক ভাতা কি?
বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা, বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন বেশি দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।
বয়স্ক ভাতা কি?
অনলাইনের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার আবেদন করার জন্য আমাদের সবার আগে বয়স্ক ভাতা কি? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তা না হলে আমরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারবো না কিভাবে আবেদন করবো। আর কেনোই বা আবেদন করবো। তাহলে চলুন এখন বিস্তারিত জেনে নেই।
বয়স্ক ভাতা হলো দেশের সরকার কতৃক প্রদত্ত একটি আর্থিক অনুদান কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অধিনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেশের সকল বয়স্ক, কর্মহীন এবং স্বল্প আয়ের দুস্থ লোকেদের একটি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার সেরা উপায়
তবে এই আর্থিক অনুদান/সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হবে। তারপর আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জমা দিবেন।
এরপর যদি তারা আপনার সকল কাগজপত্রের তথ্য যাচাই বাছাই করে যদি তারা বুঝতে পারে আপনি বয়ষ্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য তাহলেই আপনি সেই ভাতা পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন।
বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা
আপনাকে যে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হবে তার জন্য আপনাকে কিছু যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে। তা না হলে আপনি সংশ্লিষ্ট ভাতা পাবেন না। আপনি যদি এই যোগ্যতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নেওয়া যাক।
বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির জন্য যোগ্যতাগুলি হলো
- আপনাকে বাংলাদেশের একজন বৈধ নাগরিক হতে হবে।
- আপনার সংস্লিষ্ট এলাকার একজন বাসিন্দা হতে হবে।
- আপনার একটি এন আই ডি কার্ড অথবা একটি বৈধ জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে।
- এবেদনকারীর বয়স যদি পুরুষ হন তাহলে ৬৫ বছর হতে হবে।
- আর আবেদঙ্কারি যদি নারী হন তাহলে তার বয়স ৬২ হতে হবে।
- সরকার কতৃক দেওয়া নির্দিষ্ট তারিখে এই সময়টা হতে হবে।
- আবেদন কারীর বছরের গড় আয় ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকার কম হতে হবে।
আপনি যদি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার উপরের সকল যোগ্যতা থাকতে হবে। অন্যথায় আপনি সেই ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন।
তবে এই ক্ষেত্রে আপনার যদি কিছু অযোগ্যতা থাকে তাহলে ও আপনি বঞ্চিত হবেন। সেই সম্পর্কে একটু পরেই আমরা জানতে পারবো।
বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা
ইতিপুর্বে আমরা সকলেই বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির জন্য যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখন আমরা জানবো বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা সম্পর্কে।
কারণ আপনার মধ্যেও যদি এই সকল অযোগ্যতাগুলি থেকে থাকে তাহলে আপনি ও বয়স্ক ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা গুলি হলোঃ
- সরকারী কোন কর্মচারী এবং তিনি পেনশনভোগী হলে বয়স্ক ভাতা পাবেন না।
- যেসকল দুঃস্থ মহিলা ভিজিডি কার্ডের সুবিধাভোগি হলে।
- সরকারী কোন আর্থিক অনুদানের অন্তর্গত হলে।
- সরকারী অথবা অন্য কোন সংস্থা থেকে কোন প্রকার অনুদান পেলে তিনি ও অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
উপরের দেখানো কোনটা থাকলে আপনি এই ভাতা থেকে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আশা করছি আপনারা এতক্ষনে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। না বুঝে থাকলে উপরের সকল টপিক পুনরায় আবার পড়তে থাকুন।
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন
এখন খুব সহজেই বাড়িতে বসে থেকেই বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করা যায়। তবে তার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। তাহলে চলুন এখন আমরা সকলেই অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে এই বয়স্ক ভাতার আবেদন করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেই।
- প্রথমে আপনাকে mis.bhata.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। অথবা আপনি এই mis.bhata.gov.bd লিংকে ক্লিক করলেই আপনাকে গুগলে নিয়ে যাবে। তার পর সেখানে নির্বাচন করুন অপশান দেখতে পাবেন। সেখানে কিক করে বয়স্ক ভাতা অপশানটি সিলেক্ট করে নিন।
- তারপরে আপনাকে ২য় পেজে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে যার নামে আবেদন করছেন তার এন আই ডি কার্ডের নাম্বার ও তার পরের বক্সে জন্ম তারিখ দিতে হবে। এর পরে ''যাচাই করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
- ''যাচাই করুন" বাটনে ক্লিক করলেই উক্ত এন আই ডি কার্ডের মালিকের ছবি সহ আরো অনেক তথ্য পুরণ হয়ে যাবে স্বয়ংক্রীয়ভাবে। আর এখানে ভালো করে দেখবেন কোন কোন তথ্য পুরণ হয় নি। যেই গুলো পূরণ হয় নি সেগুলো আপনি নিজে সঠিকভাবে পূরণ করে দিন।
- তারপরে ধাপে সেই আবেদন কারীর সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। সেগুলো হলোঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ভূমির পরিমাণ, বাসস্থান তথ্য এই রকম আরোকিছু বিভিন্ন তথ্য।
- এর পরবর্তি ধাপে যোগাযোগের ঠিকানা দিতে হবে। আর নিচের দিকে এসে আপনার বয়স্ক ভাতার টাকা পাওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং এর ন্ম্বার দিতে হবে। যেমন Bkash/ NAGAD SETTELMET ACCOUNT এই রকম। আপনার দায়িত্ববান ব্যাক্তির নাম্বার এখানে প্রদান করতে হবে।
- এরপরবর্তি ধাপে আপনার আবেদনের সকল তথ্য দেখতে পারবেন। এখানে যদি আপনার সকল তথ্য সঠিক থাকে। তাহলে "সংরক্ষণ" বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমে আবেদনটি জমা দিয়ে দিবেন। জমা দেওয়া হয়ে গেলে সেখানে প্রিন্ট নামক অপশান পাবেন সেখানে ক্লিক করে আপনার আবেদন ফর্মটি প্রিন্ট করে নিন।
- তবে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, আবেদন যজা দেওয়ার পরে আপনি আর কোন তথ্য সেখান থেকে পরিবর্তন করতে পারবেন না।
- এরপর আপনি আপনার আবেদনের প্রিন্টকৃত ফর্মটি আপনার সংস্লিষ্ট পৌরসভা কাউন্সিলরের স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে তাদের সকল সংস্লিষ্ট কাগজপত্র সহ জমা দিন।
সংক্ষেপে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার ধাপসমূহ
ইতিপূর্বে আমরা সকলেই ২০২৫ সালে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন যেভাবে সেগুলো সম্পর্কে জেনেছি। তবে সেটি ছিলো বিস্তারিত আকারে। আপনারা অনেকেই সংক্ষেপে সংক্ষেপে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার সম্পর্কে জানতে চান। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে চান, তাহলে নিচের সংক্ষিপ্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই বয়স্ক ভাতার জন্য অনলাইনেই আবেদন করতে পারবেন।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে "বয়স্ক ভাতা" অপশন নির্বাচন করুন। এর জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তর-এর হোমপেইজে প্রবেশ করে “বয়স্ক ভাতা” সিলেক্ট করুন।
- আবেদন ফরম পূরণ করুন। ফরমে আপনাকে নাম, পিতামাতার নাম, জন্মতারিখ, বয়স, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে।
- ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সুপারিশপত্র স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে।
- সঠিকভাবে তথ্য যাচাই করে সাবমিট করুন। সব তথ্য একবার চেক করে নিশ্চিত হয়ে তারপরে “Submit” বাটনে ক্লিক করুন। সফলভাবে আবেদন সম্পন্ন হলে একটি Tracking Number পাবেন। যেটা ব্যাবহার করে আপনি পরবর্তিতে আপনার আবেদনের অবস্থা যাচাই করতে পারবেন।
বয়স্ক ভাতা আবেদন যাচাই
আপনি যে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের তথ্য আপনি যদি চান তাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই যাচাই করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন আমরা অনলাইনের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা আবেদন যাচাই সম্পর্কে জেনে নেই।
অনলাইনে আবেদন করার পর আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস জানানো হয়। এছাড়াও আপনি আবেদন ট্রাকিং ওয়েবসাইট এ গিয়ে Tracking Number দিয়ে আপনার আবেদনের বর্তমান পরিস্থিতি কি সেটি চেক করতে পারবেন।
- আবেদনপত্রটি যাচাই করার জন্য প্রথমে আপনাকে এই Application Tracking ওয়াবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আপনি এখানে ক্লিক করলেই সেই ওয়েবসাইটে চনে যাবেন।
- আপনি সেখানে ম্যেনু দেখতে পাবেন। সেখানে প্রথম অপশানে আপনাকে বয়স্কভাতা সিলেক্ট করতে হবে।
- আর পরবর্তি অপশানে আপনাকে প্রথম ঘরে এন আই ডি নাম্বার দিতে হবে। আর পরবর্তি ঘরে আপনাকে জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন।
- অনেক সময়ে সার্ভারের সমস্যার কারণ একটি অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। তবে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়।
- এখানে আপনার বয়স যদি বয়স্কভাতার জন্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তাহলে এখানে আপনার ভাতার আবেদনটি দেখতে পারবেন।
- আর যদি আপনার আবেদন করা না হয়ে থাকে তাহলে আপনি এখান থেকেই আবেদনটি করতে পারবেন।
- উপরের সকল ধাপটি পড়ে আশা করছি আপনি উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
বয়স্ক ভাতা কত টাকা ২০২৫
আপনারা অনেকেই বয়স্ক ভাতা কত টাকা দেওয়া হয় বাংলাদেশে সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আপনারা অনেকেই এই সকল তথ্য খুজে খুজে অনেক হয়রানির স্বিকার হন কিন্তু সঠিক তথ্য জানতে পারেন না।
এখন আমরা আপনাকে এই সকল তথ্য সম্পর্কে জানাবো। তাহলে চলহুন এখন জেনে নেওয়া যাক। বাংলাদেশে যে পরিমাণে বয়স্কভাতার টাকা দেওয়া হয় তা অনেক সামান্য টাকা। যা দিয়ে একজন মানুষের চলাচল করা অনেক কঠিন একটি বিষয়।
বাংলাদেশে একজন ব্যাক্তির জন্য বয়স্ক ভাতার পরিমাণ মাসিক মাত্র ৫০০ টাকা। তবে এটি হয়তো ভবিষ্যতে পরিবর্তনশীল হতে পারে। পূর্ববর্তিতে বিভিন্ন অর্থবছরে এই ভাটার টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ২০২৫ এ এড দেখে টাকা আয়ের সেরা ১০টি উপায়
তাই আশা করা যায় ভবিষ্যতেও এই টাকার পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে। তাহলে চলুন এখন আমরা বিভিন্ন বছরে এই বয়ষ্ক ভাতার টাকার পরিমাণ জেনে নেই একটি ছকের মাধ্যমে।
বয়স্ক ভাতার পরিমাণ ও প্রদান পদ্ধতি
বর্তমানে বয়স্কদের মাসিক ৫৫০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এই টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (যেমনঃ নগদ/বিকাশ/রকেট) এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। ২০২৫ সালে এ ভাতার পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও সরকার জানিয়েছে।
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
অনলাইনে আবেদন করার সময় ভুল তথ্য না দিয়ে একদম সঠিক ও আপডেট তথ্য দিন। একাধিকবার আবেদন করলে সেটি বাতিল হতে পারে। স্থানীয় চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলরের সুপারিশপত্র সংযুক্ত না থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এছাড়া আবেদনের প্রিন্ট কপি এবং Tracking Number সংরক্ষণ করে রাখুন। যাতে করে আপনি ভবিষ্যতে আপনার আবেদনের অবস্থা খুব সহজেই যাচাই করতে পারেন।
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রশ্নঃ কত বছর বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ছেলেদের ক্ষেত্রে ৬৫ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ৬২ বছর হতে হবে।
প্রশ্নঃ মোবাইলে এসএমএস না আসলে কী করবো?
উত্তরঃ যদি মোবাইলে এসএমএস না আসে তাহলে ওয়েবসাইটে গিয়ে Tracking Number দিয়ে আপনার আবেদনের অবস্থা চেক করুন। যদি সমস্যা থাকে তাহলে স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করুন।
প্রশ্নঃ বয়স্ক ভাতার টাকা কবে আসবে 2025?
উত্তরঃ ২০২৫ অর্থবছরের বয়স্ক ভাতার টাকা ১ জুলাই ২০২৫ শেষ কিস্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ আবেদন করলে ভাতা কতদিনে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ আবেদন করার পরে আপনার তথ্যগুলো তারা নির্দিষ্ট সময় পরে যাচাই-বাছাই করে। যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে ভাতা প্রদান শুরু হয়।
প্রশ্নঃ বর্তমানে কত লক্ষ মানুষ বয়স্ক ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন?
উত্তরঃ বর্তমানে ৫৭ লাখ মানুষ বয়স্ক ভাতা সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে কি আবেদন করা যাবে?
উত্তরঃ না, বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) থাকতে হবে।
প্রশ্নঃ ভাতার এর অর্থ কি?
উত্তরঃ ভাতার এর অর্থ হলো অতিরিক্ত বেতন, বৃত্তি, খাদ্যাদির ব্যয়নির্বাহের জন্য প্রদত্ত অর্থ।
লেখকের মন্তব্য
২০২৫ সালে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াটি আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। ঘরে বসেই আপনি অথবা আপনার পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা এই ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সঠিক তথ্য ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সরবরাহ করলে আবেদন প্রক্রিয়া নির্ভরযোগ্যভাবে সম্পন্ন হবে। তাই দেরি না করে এখনই আবেদন করে ফেলুন!
আজকে আমদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এই রকম আরো তথ্য বহুল আর্টিকেল প্রতিদন নিয়োমিত পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url