২০২৫ সালে ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময় ও ভাড়া
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার আপডেট নিয়ম ও প্রক্রিয়া ২০২৫ঢাকা থেকে রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই রুটে চলাচল করে থাকেন। যদি আপনি ২০২৫ সালে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য উপকারী হবে। এখানে আপনি পাবেন ট্রেনের সময়সূচী, ট্রেনের নাম, ভাড়া তালিকা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সকল কিছু একসাথে।
ট্রেন ভ্রমণকে অপছন্দ করেন এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। নিরাপত্তা ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য প্রায় সকলেরই প্রিয় ট্রেনে ভ্রমন করা। আজকের এই সম্পূর্ণ পাঠে আপনাদেরকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
ঢাকা থেকে রাজশাহী আন্তঃনগর ট্রেনের তালিকা
ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে নিয়োমিত ৪ টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে। যেগুলোতে করে আপনি চাইলে তাদের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ি ঢাকা থেকা রাজশাহি যেতে পারবেন। নিচে সেই চারটি ট্রেনের নাম উল্লেখ করা হলো।
- সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
- পদ্মা এক্সপ্রেস
- ধূমকেতু এক্সপ্রেস
- বনলতা এক্সপ্রেস
সিল্কসিটি এক্সপ্রেসঃ সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের সবথেকে দ্রুত তম ট্রেন হিসেবে পরিচিত। এই ট্রেন নাম্বার হলো ৭৫৩/৭৫৪।
এই টেরনটি অনেক আধুনিক এবং বিলাসবহুর একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচিন পরিষ্কার নগরী রাজশাহী পর্যন্তই চলাচল করে।
পদ্মা এক্সপ্রেসঃ এই ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃক পরিচালিত হয়া থাকে। যেটা ঢাকা থেকে রাজশাহীর একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই ট্রেনটি ও অনেক বিলাসবহুল।
এতে একটি আধুনিক ট্রেনের সকল সুবিধা রয়েছে। যেমন এসি স্লিপার, খাবার গাড়িসহ আরো অনেক কিছু। এই পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন নাম্বার ৭৫৯/৭৬০।
ধূমকেতু এক্সপ্রেসঃ এই ট্রেনটিও বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃক পরিচালিত হয়ে থাকে ঢাকা টু রাজশাহী রুটে। এই ট্রেণ নাম্বার হলো ৭৬৯/৭৭০।
এই ট্রনটি ও অনেক বিলাস বহুল একটি ট্রেন। যাতে রয়েছে ৭টি নন-এসি কোচ, ৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ, একটি ড্রাইভার গাড়ি ও গার্ড ব্রেকসহ ২টি খাবার গাড়ি।
এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌছাতে সময় লাগে মাত্র ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট। যেটা অনেক দ্রুত সময়ে রাজশাহী পৌছিয়ে দেয়।
বনলতা এক্সপ্রেসঃ এই ট্রনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার যাত্রীদের কাছে অনেক পছন্দের একটি ট্রেন। কারণ এই ট্রেন অন্য সকল ট্রেনের মতো মাঝপথে কোথাও থামে না।
এটি একটি বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর বিরতিহিন ট্রেন। এই ট্রেন ঢাকা থেকে রাজশাহী তারপর চাপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত যায়। এই ট্রেনের নাম্বার হলো ৭৯১/৭৯২।
ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচলকারী ট্রেনের নাম
আমরা ইতিপূর্বে ঢাকা থেকে রাজশাহী আন্তঃনগর ট্রেনের তালিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমরা আরো বেশকিছু ট্রেনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। বুঝার সুবিধার্তে ছকের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলো।
ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার ট্রেনের সময়সূচী
ইতিপূর্বে আমরা সকলেই বাংলাদেশের ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে যেই সকল ট্রেন চলাচল করে তার নাম জানতে পারলাম। এখন আমরা সকলেই এই ট্রেনগুলি কোন সময়ে যাতায়াত করে সেই সম্পর্কে জানবো। কোন সময়ে ট্রেন ঢাকা রেলস্টেশান থেকে রাজশাহী রেলস্টেশানে পৌছায় তা জানবো।
সিল্কসিটি এক্সপ্রেসঃ
পদ্মা এক্সপ্রেসঃ
ধূমকেতু এক্সপ্রেসঃ
বনলতা এক্সপ্রেসঃ
তথ্যসূত্রঃ TrainScheduleBD Trainschedule.com
আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতির স্থান
বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী রুটের সকল আন্তঃনগরী ট্রেনগুলোই বিরতি প্রদান করে থাকে। এখন আমরা সেই সকল ট্রেনের বিরতির স্থান সম্পর্কে জানবো। অর্থাৎ ট্রেনগুলি কোন জায়গায় বিরতি প্রদান করে থাকে সেই জায়গার নাম সম্পর্কে জানবো। তাহলে চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যে সকল জায়গায় বিরতি দিয়ে থাকে সেগুলো জায়গা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- ঢাকা বিমান বন্দর
- জয়দেবপুর
- মির্জাপুর
- টাঙ্গাইল
- বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব
- এসএইচ এম মনসুর আলী
- জামতাইল
- উল্লাপাড়া
- বোরাল ব্রিজ
- চাটমোহর
- ঈশ্বরদী বাইপাস
- আব্দুলপুর
পদ্মা এক্সপ্রেস
পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে যেসকল জায়গায় বিরতি দিয়ে থাকে সেই সকল স্থান নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ঢাকা বিমান বন্দর
- জয়দেবপুর
- টাঙ্গাইল
- বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ইস্ট
- এসএইচ এম মনসুর আলী
- উল্লাপাড়া
- বোরাল ব্রিজ
- চাটমোহর
- ঈশ্বরদী বাইপাস
- আব্দুলপুর
- সারদাহ রোড
আরো পড়ুনঃ কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত
ধূমকেতু এক্সপ্রেস
ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে যেসকল জায়গায় বিরতি যিয়ে থাকে সেই সকল স্থান নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ঢাকা বিমান বন্দর
- জয়দেবপুর
- টাঙ্গাইল
- বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব
- এসএইচ এম মনসুর আলী
- জামতাইল
- উল্লাপাড়া
- বোরাল ব্রিজ
- চাটমোহর
- ঈশ্বরদী বাইপাস
- আব্দুলপুর
- অরণী
বনলতা এক্সপ্রেস
বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে কোথাও কোন বিরতি নিয়ে থাকে না। এটি একমাত্র ট্রেন যেটি ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে একমাত্র বিরতিহীন ট্রেন।
তথ্য সূত্রঃ TrainScheduleBD Trainschedule.com, Porzoton.com
ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের ভাড়া
ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার রুটে সকল ট্রেনের জন্য আলাদা আলাদা ভারা বরাদ্দ রয়েছে। সাধারণত ট্রেনে তিন ধরণের ভাড়া নিতে দেখা যায়। সেগুলো হলোঃ
- শোভন চেয়ার
- স্নিগ্ধা
- এসি সিট
নিম্নে আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে এই সকল ভাড়া সকল ট্রেনের জন্য আলাদা আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে। তাহলে চলুন এখন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। এতে করে আপনাদের জানতে ও অনেক সুবিধা হবে।
সিল্কসিটি এক্সপ্রেসঃ
পদ্মা এক্সপ্রেসঃ
ধূমকেতু এক্সপ্রেসঃ
বনলতা এক্সপ্রেসঃ
তথ্যসূত্রঃ TrainScheduleBD Trainschedule.com
টিকিট কাটা ও ট্রেন যাত্রা সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ
- অনলাইনেই বুকিং ব্যবহার করুনঃ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসেই টিকিট কেটে নিতে পারেন। Rail Sheba ওয়েবসাইট বা মোবাই অ্যাপস ব্যাবহার করেই।
- যাত্রার অন্তত ২-৩ দিন আগে টিকিট নিশ্চিত করুন, বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটিতে।
- ট্রেন ভমনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সঙ্গে রাখুন, এটি টিকিট ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয়।
- স্টেশনে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত ৩০ মিনিট আগে উপস্থিত থাকুন।
ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী আসতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে রাজশাহী আসতে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘন্টা। তবে ট্রেনা আসলে এই সময় আরো অনেক কম পরিমাণে লাগবে। যেমন ৫ ঘন্টা বা তার কম বা একটু বেশি।
প্রশ্নঃ রাজশাহী রেল স্টেশনের নাম কি?
উত্তরঃ রাজশাহী রেল স্টেশনটি বিভাগীয় শহরের শিরোইল বাস টার্মিনালের বিপরীত দিকে অবস্থিত। এটিকে স্টেশনকে সকলে রাজশাহী রেল স্টেশান নামেই চিনে থাকেন।
প্রশ্নঃ আন্তঃনগর ট্রেন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ আন্তঃনগর ট্রেন বলতে সেই ট্রেনকেই বুঝায় যে ট্রেন অনেক দুরপাল্লার ভ্রমন করে থাকে দেশের ভেতরেই। তবে অনেক সময়ে এই ট্রেন দেশের বাহিরেও সেবা প্রদান করে থাকে।
প্রশ্নঃ ট্রেনের বাংলা অর্থ কী?
উত্তরঃ ট্রেনের বাংলা অর্থ হলো ""লৌহ পথ গামিনী"
প্রশ্নঃ কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা ট্রেন ভাড়া কত?
উত্তরঃ কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা ট্রেন ভাড়া তিন শ্রেণিতে বিভক্ত। যেমন শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৫৫ টাকা আর এসি চেয়ার ভাড়া ৬৭৮টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ১২১৯ টাকা পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হয় কবে?
উত্তরঃ পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০২২ সালের ২৫ জুনের প্রায় দশ মাস পরেক প্রথম পরিক্ষা মূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ৪ এপ্রিল।
প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর প্রথম ট্রেন চালকের নাম কি?
উত্তরঃ পদ্মা সেতুর প্রথম ট্রেন চালকের নাম হলো মাস্টার রবিউল ইসলাম।
প্রশ্নঃ লোহা ও ইস্পাত দিয়ে তৈরি বাংলাদেশের বৃহত্তম রেল সেতু কোনটি?
উত্তরঃ লোহা ও ইস্পাত দিয়ে তৈরি বাংলাদেশের বৃহত্তম রেল সেতু হলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজের রেল সেতুটি।
লেখকের মন্তব্য
ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনযাত্রা আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী একটি উপায়। উপরের সময়সূচী ও ভাড়া তালিকা অনুসরণ করে আপনি আপনার ট্রিপ আরও পরিকল্পিত ও সহজ করতে পারবেন। ট্রেন যাত্রা ভ্রমণ করুন নিরাপদে, আর জানুন আপনার গন্তব্য সম্পর্কে আগেই!
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কে।
আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন নিয়োমিত পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url